ছবি, সাহিত্য, তথ্যচিত্র, সংগীত—সব জায়গায়ই রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের বিচরণ। এমনকি ক্যারিয়ারের একটা সময় সায়েন্স ফিকশন সিনেমা বানানোর কথাও ভেবেছিলেন এই নির্মাতা। নাম ঠিক করেছিলেন ‘অবতার’। চিত্রনাট্য এবং চরিত্র বাছাইয়ের মতো কাজ অনেকটা এগিয়ে গেলেও শেষপর্যন্ত কাজটি করা আর হয়ে উঠেনা তার। এই ছবি প্রসঙ্গেই কলকাতার ‘আশ্চর্য!’ পত্রিকার সম্পাদক অদ্রীশ বর্ধনকে আড্ডাচ্ছলে এই দুইটি সাক্ষাৎকার দেন।…
জীবনের শেষ দশ বছরে আমার মা ধীরে ধীরে তার সব স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। তাকে দেখার জন্য আমি জারাগোজায় যেতাম, যেখানে তিনি আমার ভাইদের সাথে থাকতেন। আমি লক্ষ করতাম কীভাবে তিনি পত্রিকা পড়েন, খেয়াল করে পাতা ওলটান, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত। পড়া শেষে বলে দিতাম, শুধু দেখার জন্যই তিনি পত্রিকাটির প্রতিটি পাতা ওলটাচ্ছেন, পড়ার জন্য নয়।…
ধরা যাক, আপনি একটা পার্কে। আপনি আপনার পরম শত্রুকে খুন করতে একটা পয়েন্ট থ্রি রিভলবার নিয়ে পিছন দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছেন। শত্রু বসে রয়েছে একটা বেঞ্চিতে, আপনার দিকে পিছন ফিরে। ঠিক যেই মুহূর্তে আপনি লক্ষ্য স্থির করে শ্যুট করতে যাবেন তখনই দেখলেন আপনার শত্রু একটা পিস্তল বের করে নিজের কানের কাছে নিয়েছে, নিজেকেই খুন করতে…
আমেরিকার ‘স্বাধীন’ সিনেমার বিশেষত্ব হলো এই যে স্বাধীন সিনেমাকাররা কমবেশি সবাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হলিউডের আশীর্বাদপুষ্ট হতে চান বা হয়ে পড়েন। সব সময় মুনাফার ও বিস্তৃতির সুযোগসন্ধানী এই ইন্ডাস্ট্রির নতুন মেধাকে করায়ত্ব করার আকাঙ্ক্ষার যেমন মন্দ দিক আছে তেমনি আছে ভালো দিকও। ‘মন্দ’ দিক হলো নতুন বা উদীয়মান পরিচালকেরা খুব দ্রুতই শিখে…